আজ বৃহস্পতিবার, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গরু মোটা তাজার আগেই বিক্রি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
পবিত্র শবে বরাতের আগে ৬৫ হাজার টাকায় একটি অস্ট্রেলিয়ান ষাড় কিনেছিলেন দিদারুল ইসলাম। ইচ্ছা ছিলো কোরবানীতে বিক্রি করবে। কিন্তু মাসখানেক পালন করে খাদ্যসংকট ও আতঙ্কে কসাইদের কাছে ৭৫ হাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন ষাড় বাছুরটি। তার মতে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি কবে নাগাদ ঠিক হবে তা জানা নেই। কোরবানীতে সঠিক দামে বিক্রি করতে পারবে কিনা সেই শঙ্কা থেকেই তিনি তার গরুটি বিক্রি করে দিয়েছে। ১মাসে প্রায় ৮হাজার টাকার দানাদার খাবার খেয়েছে তার ষাড় গরুটি। অন্যদিকে কাচা ঘাস ও নিজের শ্রম বিনামূল্যে দেখেই ২হাজার টাকা লাভ করেছেন বলে জানান তিনি।
শুধু তিনিই নয় জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার আলীরটেক ও বক্তাবলী ইউনিয়নের বসবাসরত একটি অংশ কৃষিকাজে নিয়োজিত। পাশাপাশি বিভিন্ন পশু পালনেও তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। গরু মোটাতাজা করে কোরবানীতে বিক্রি করেন। কোরবানীতে গরু বিক্রির উদ্দেশ্যে শবে বরাতের পর পরই বাছুর বা ছোট গরু ক্রয় করে সেগুলাকে দানাদার খাবারের পাশাপাশি কাচা ঘাষ খায়িয়ে পালন করেন। বিগত সময়গুলোতে বিক্রির সময় গরুতে ৮থেকে ১০হাজার টাকা লাভ হলেও করোনা প্রকোপে এ বছর হবে কিনা তা নিয়েই চিন্তিত। আর সেই চিন্তা থেকেই অনেকে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
খামারীরা বলছেন, কসাইদের কাছে গরু বিক্রি করলে তেমন লাভ করা যায় না। বর্তমানে দানাদার খাদ্যের সংকট দেখিয়ে দামও বৃদ্ধি হয়েছে কিছুটা। আগের বছর ভূট্টা ভাঙ্গা ৬শ টাকা মন কিনলেও এ বছর তা ৭৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে। পাশাপাশি খুদ ১৬ থেকে ১৯টাকা। কুড়া ১৪শ থেকে ১৬শ টাকা বস্তা কিনছি। এতো বেশি দিয়ে কিনে লাভ করাটা মুশকিল হয়ে যায়।
অন্যদিকে মাংসের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কসাইরা বলছেন, রমজান মাসে গরুর মাংসের চাহিদা বেশি থাকে। সেই তুলনায় দামও কিছুটা বৃদ্ধি পায়। আমরা গত ঈদে মাংস বিক্রি করেছি ৫৫০ থেকে ৫৮০টাকা কেজি। এখন দাম কিছ্টুা কম থাকলেও ঈদের আগে আবারও মাংসের দাম বৃদ্ধি পাবে। তাই গরু কিনে রাখছি ঈদের আগে যেনো মাংস বিক্রি করতে পারি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ